Pages

তাবিজ-কবজ

 অসুখ-বিসুখ, যাদু-টোনা, বদ নজর

ইত্যাদি থেকে বাঁচার জন্য শরীরে কোন
কিছু ঝুলানো নাজায়েজ:
রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
ْﻦَﻣ َﻖَّﻠَﻌَﺗ ﺎًﺌْﻴَﺷ َﻞِﻛُﻭ ِﻪْﻴَﻟِﺇ
“যে ব্যক্তি (রোগ-ব্যাধি, যাদু,বদ নজর
ইত্যাদি থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে শরীরে)
কোন জিনিষ লটকাবে, তাকে ঐ জিনিষের
দিকেই সোপর্দ করে দেয়া হবে।”
(তিরমিযী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিব্ব। শায়খ
নাসির উদ্দীন আলবানী (রঃ) হাসান
বলেছেন। ( দখুনঃ সহীহুত্ তিরমিযী হা নং-
২০৭২ )
-------------
প্রিয় ভাই ও বোন,
অসুখ-বিসুখ, জাদু-টোনা ও বদ নজর
ইত্যাদির জন্য শরীরে তাবিজ-কবজ,
সুতা, তাগা, রিং, আংঠি ইত্যাদি ব্যবহার
করা শরীয়ত সম্মত নয়।
এ সবের জন্য শরীয়ত সম্মত ঝাড়-ফুঁক
অথবা বর্তমানে আল হামদুলিল্লাহ
আধুনিক পদ্ধতিতে চিকিৎসার বিভিন্ন
উপায় রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করা যাবে।
অসুখ হলে মহান আল্লাহর উপর
ভরসা করে সকল প্রকার বৈধ
উপায়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা জায়েজ। এ
জন্য ওষুধ সেবন করা, শরীরে মালিশ
করা সবই জায়েজ। কিন্তু কোন ওষুধ
বা তাবিজ-কবজ ইত্যাদি গলায়, কোমরে,
হাতের কব্জিতে বা শরীরের অন্য কোথাও
লটকিয়ে রাখা ইসলাম সমর্থন করে না।
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।

সূরা আল-বাকারাহ-এর ১৯৫ আয়াতে বলা হয়েছে,

﴿وَأَنفِقُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا تُلۡقُواْ بِأَيۡدِيكُمۡ إِلَى ٱلتَّهۡلُكَةِ﴾ [البقرة: ١٩٥]

“এবং তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় কর এবং তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৫]

আল্লাহ তা‘আলা সূরা হুজুরাতের ১২ নং আয়াতে বলেছেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱجۡتَنِبُواْ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلظَّنِّ إِنَّ بَعۡضَ ٱلظَّنِّ إِثۡمٞۖ وَ لَا تَجَسَّسُواْ وَلَا يَغۡتَب بَّعۡضُكُم بَعۡضًاۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمۡ أَن يَأۡكُلَ لَحۡمَ أَخِيهِ مَيۡتٗا فَكَرِهۡتُمُوهُۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ تَوَّابٞ رَّحِيمٞ ١٢﴾ [الحجرات: ١٢]

“হে মুমিনগণ তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাক। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।”

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إيَّاكُمْ والظَّنَّ فَإنَّ الظَّنَّ أكْذَبُ الْحَدِيثِ ولا تَحَسَّسُوا ولاتَجَسَّسوا ولاتَنَافَسُوا ولا تّحَاسَدُوا ولاتّبَاغَضُوا ولا تَدَابَرُوا وكُونُوا عِبَادَ اللهِ إخْوانًا»

“খবরদার! তোমরা অবশ্যই অনুমান থেকে দূরে থাকবে। কারণ, অনুমাণই হলো সবচেয়ে বড় মিথ্যা এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় জানার চেষ্টা করবে না। গোপন দোষ অনুসন্ধান করবে না, পরস্পর হিংসা করবে না, পরস্পরে বিদ্বেষে লিপ্ত হবে না এবং পরস্পরে শত্রুতা ও সম্পর্কচ্ছেদ করবে না। তোমরা পরস্পরে আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও।”[33]

এভাবে আমরা জানতে পারছি যে, অনুমানে কথা বলা এবং অন্যের দোষ অনুসন্ধান করা হারাম। শুধু তাই নয়, অনুসন্ধান ছাড়াও যদি অন্যের কোনো দোষত্রুটি মানুষ জানতে পারে তা তার অনুপস্থিতিতে উল্লেখ করা গীবত ও হারাম। 

No comments:

Post a Comment

কুরআনের কিছু আয়াত

 কুরআনের কিছু আয়াত এখানে এমন কিছু কুর'আনের আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো আমাদের অন্তরকে শীতল করবে এবং পরকালীন প্রস্তুতি নিতে সাহায্য ক...