পবিত্র কোরআন সম্পর্কে অমুসলিম পন্ডিতদের উক্তি:-
(১) “কোরআনের সংগ্রহকারীরা কোরআনের কোন অংশ,
বাক্য কিংবা শব্দ বাদ দিয়েছে এমন কখনো শুনা যায়নি।
আবার কোরআনে এমন কোন বাক্যেরও সন্ধান
পাওয়া যায় না যা বাহির হতে কোরআনে প্রবেশ করেছে।
যদি এমন হত, তাহলে অবশ্যই হাদীসের কিতাবে উহার
উল্লেখ থাকত, যা থেকে সামান্য বিষয়ও বাদ পড়েনি।”
উইলিয়াম ময়িউর
(২) “নিঃসন্দেহে কোরআন আরবী ভাষার সর্বোত্তম
এবং দুনিয়ার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ! কোন
মানুষের পক্ষেই এ ধরনের একখানা অলৌকিক গ্রন্থ
রচনা করা কিছুতেই সম্ভব নয়। কোরআন মৃতকে জীবিত
করার চেয়েও শ্রেষ্ঠ মোযেযা। একজন অশিক্ষিত লোক
কি করে এ ধরনের ত্রুটিমুক্ত ও নজিরবিহীন
বাক্যাবলী রচনা করতে পারে তা ভাবতেও আশ্চর্য লাগে।"
জর্জ সেল
(৩) “কেবল মাত্র কোরআনই এমন একখানা গ্রন্থ
যাতে তের শত বছরের ব্যবধানেও কোন পরিবর্তন ঘটেনি।
ইহুদী ও খৃষ্টান ধর্মেও এমন কোন নির্ভরযোগ্য বস্তু
নেই যা আদৌ কোন দিক থেকে কোরআনের সমকক্ষ
হতে পারে।’’
প্রসিদ্ধ খৃষ্টান ঐতিহাসিক মিঃ বাডলে
(৪) “প্রাচীন আরবীতে অবতীর্ণ কোরআন শরীফ
অত্যন্ত মনোরম ও আকর্ষণীয়। ইহার বাক্য বিন্যাস
পদ্ধতি ও প্রকাশভঙ্গী খুবই মনোমুগ্ধকর। কোরআনের
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাক্যগুলিতে যে বলিষ্ট ও শক্তিশালী যুক্তির
অবতারণা করা হয়েছে তা খুবেই চমৎকার। কোরআনের
ভাবধারা অন্য ভাষার যথাযথ প্রকাশ করা খুবই মুসকিল।”
দি উইসডম অফ দি কোরআন- জন ফাস
(৫) “কোরআনের বিধানবলী স্বয়ং সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ।”
পিচিং অফ ইসলাম-আর্নল্ড টয়েনবি
(৬) “দুনিয়ার কোন গ্রন্থ ই কোরআনোর ন্যায়
বেশী পাঠ করা হয় না। বিক্রির দিক দিয়ে হয়ত বাইবেল
সংখায় বেশী হবে। কিন্তু মুহাম্মদের
কোটি কোটি অনুসারীরা যেদিন থেকে কথা বলার
ক্ষমতা অর্জন করে সেদিন থেকেই দৈনিক পাঁচ বার
কোরআনের দীর্ঘ দীর্ঘ আয়াতসমূহ পাঠ করা শুরু করে।”
চার্লস ফ্রান্স পুটার
(৭) “সমস্ত আসমানী গ্রন্থ সমূহের মধ্যে কোরআন
সর্বশ্রেষ্ঠ। মহান আল্লাহ তাঁর বিশেষ অনুগ্রহে মানব
জাতির উদ্দেশ্যে এই সর্বোৎকৃষ্ট কিতাবখানা নাযিল
করেছেন। মানুষের কল্যাণ সাধনে ইহা প্রাচীন গ্রীক
দর্শনের চেয়েও অধিকতর ফলপ্রসু। কোরআনের
প্রতিটি শব্দ হতেই আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্বের
ঝংকার ধ্বনিত হয়।” ডঃ মোরনেস ফ্রান্স
(৮) “পবিত্র কোরআন শুধুমাত্র কতগুলি ধর্মীয়
বিধানাবলীর সমষ্টিই নয়, বরং উহাতে এমন এমন
সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিধানাবলীও রয়েছে যা গোটা মানব
জাতির জন্যই সমান কল্যানকর।” ডঃ মসিজিউন
(৯) “আমি কোরআনের শিক্ষাসমূহের
উপরে গবেষনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌছেছি যে, কোরআন
নাযিলকৃত আসমানী কিতাব এবং উহার শিক্ষাসমূহ মানব
স্বভবের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যশীল।” গান্ধী
(১০) “আমি ইসলামকে পছন্দ করি এবং ইসলামের
পয়গাম্বরকে দুনিয়ার একজন শ্রেষ্ঠ মহা পুরুষ
বলে স্বীকার করি। আমি কোরআনের সামাজিক,
রাজনৈতিক, আত্বিক ও নৈতিক বিধানাবলীকে অন্তরের
সহিত পছন্দ করি।হযরত উমরের খেলাফতকালে ইসলামের
যে রূপ ছিল উহাকেই আমি ইসলামের বাস্তব ও পূর্ণাঙ্গ
রূপ বলে মনে করি।”
লালা লাজ পাত রায় ভারত
(১১) “কোরআনের অধ্যয়নে বিবেক হয়রান হয়ে যায় যে,
একজন অশিক্ষিত লোকের মুখ হতে এ ধরনের কালাম
(ভাষা) কি করে বের হয়।” কোন্ট হেনরী
(১২) “মুহাম্মদের এ দাবী আমি সর্বান্তকরনে স্বীকার
করি যে কোরআন মুহাম্মদের (সঃ) একটি সর্বকালীন
শ্রেষ্ঠ মোযেযা।” মিঃ বোরথ সমুখ
(১৩) “কোরআন গরীবের বন্ধু ও কল্যানকামী। ধনীদের
বাড়াবাড়ীকে কোরআন সর্বক্ষেত্রেই নিন্দা করেছে।” গর্ড
ফ্রে হগ্নস
(১৪) “তের শত বছর পরেও কোরআনের শিক্ষাসমূহ এতই
জীবন্ত যে আজও একজন ঝাড়ুদার মুসলমান
হয়ে (কোরআনের প্রতি ঈমান এনে) যে কোন
খান্দানী মুসলিমদের সাথে সমতার দাবী করতে পারে।”
মিঃ ভুপেন্দ্রনাথ বোস
(১৫) “ইসলামকে যারা প্রতিক্রিয়াশীল ধর্ম
বলে নিন্দা করে, তারা কোরআনের
শিক্ষাকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি।এই
কোরআনের বদৌলতেই আরবদের কায়া সম্পূর্ন
পাল্টে গিয়েছে।” মোসেউর্মিওব ফ্রান্স
No comments:
Post a Comment