Pages

(আমিন) বলা সংক্রান্ত

বিষয়ঃ সূরা ফাতিহার পর আমীন (আমিন) বলা সংক্রান্ত হাদিসসমূহ হাদিসঃ ৭৬ টি

 ৭৮০ | সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১০/১১১. ইমামের সশব্দে ‘আমীন’ বলা।


وَقَالَ عَطَاءٌ آمِينَ دُعَاءٌ أَمَّنَ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَمَنْ وَرَاءَهُ حَتَّى إِنَّ لِلْمَسْجِدِ لَلَجَّةً وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُنَادِي الْإِمَامَ لاَ تَفُتْنِي بِآمِينَ وَقَالَ نَافِعٌ كَانَ ابْنُ عُمَرَ لاَ يَدَعُهُ وَيَحُضُّهُمْ وَسَمِعْتُ مِنْهُ فِي ذَلِكَ خَيْرًا.


‘আত্বা (রহ.) বলেন, ‘আমীন’ হল দু‘আ। তিনি আরও বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু যুবায়র (রাযি.) ও তাঁর পিছনের মুসুল্লীগণ এমনভাবে ‘আমীন’ বলতেন যে, মসজিদে গুমগুম আওয়ায হতো। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) ইমামকে ডেকে বলতেন, আমাকে ‘আমীন’ বলার সুযোগ হতে বঞ্চিত করবেন না। নাফি‘ (রহ.) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাযি.) কখনই ‘আমীন’ বলা ছাড়তেন না এবং তিনি তাদের (আমীন বলার জন্য) উৎসাহিত করতেন। আমি তাঁর কাছ হতে এ সম্পর্কে হাদীস শুনেছি।



৭৮০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম যখন ‘আমীন’ বলেন, তখন তোমরাও ‘আমীন’ বলো। কেননা, যার ‘আমীন’ (বলা) ও মালাইকাহর ‘আমীন’ (বলা) এক হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মা‘ফ করে দেয়া হয়। ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ‘আমীন’ বলতেন। (৬৪০২; মুসলিম ৪/১৮, হাঃ ৪১০, আহমাদ ৮২৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৪)

 


بَاب جَهْرِ الْإِمَامِ بِالتَّأْمِينِ


حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ آمِينَ ‏"‏‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)  ১০/ আযান (كتاب الأذان)

৭৮১ | সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১০/১১২. ‘আমীন’ বলার ফযীলত।


৭৮১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ (সালাতে) ‘আমীন’ বলে, আর আসমানে মালাইকাহ্ ‘আমীন’ বলেন এবং উভয়ের ‘আমীন’ একই সময় হলে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়।* (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৫)


* যেহরী সালাতে উচ্চস্বরে আমীন না বলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাদের আমলের বিপরীত, বরং ইমাম ও মুক্তাদির সকলেরই সরবে আমীন বলতে হবে। কেননা রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেহ্‌রী সালাতে উচ্চস্বরে আমীন বলতেন এবং ইমাম যখন আমীন বলে তখন মুক্তাদিকে আমীন বলার নির্দেশ দিতেন যেমন ৭৮০ নং হাদীস বর্ণিত। এছাড়াও তিরমিযী বর্ণিত হাদীসে আছেঃ

ওয়ায়িল বিন হুজর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে “গায়রিল মাগযূবি ‘আলাইহিম অলায্‌যাল্লীন” পড়তে শুনেছি। অতঃপর তিনি নিজের স্বরকে উচ্চ করে আমীন বলেছেন ।

(বুখারী ১ম ১০৭-১০৮ পৃষ্ঠা; মুসলিম ১৭৬ পৃষ্ঠা। আবূ দাউদ ১৩৪ পৃষ্ঠা। তিরমিযী ৫৭-৫৮ পৃষ্ঠা। নাসাঈ ১৪০ পৃষ্ঠা। ইব্‌নু মাজাহ ৬২ পৃষ্ঠা। মেশকাত ১ম খণ্ড ৭৯-৮০ পৃষ্ঠা। মুয়াত্তামালেক ১০৮ পৃষ্ঠা। ইব্‌নু খুযায়মাহ ১ম ২৮৭ পৃষ্ঠা। যাদুল মায়াদ ১ম খণ্ড ১৩২ পৃষ্ঠা। হিদায়া হিরায়াহ ১০৮ পৃষ্ঠা। মেশকাত নূর মোহাম্মদ আযমী ২য় খণ্ড ও মাদ্‌রাসা পাঠ্য হাদীস নং ৭৬৮-৭৮৭। বুখারী আযীযুল হক ১ম খণ্ড হাদীস নং ৪৫৩, বুখারী আধুনিক প্রকাশনী ১ম খণ্ড হাদীস নং ৭৩৬-৭৩৮, বুখারী ইসলামিত ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড অনুচ্ছেদসহ হাদীস নং ৭৪১-৭৪৩। মুসলিম ইঃফাঃ ২য় খণ্ড হাদীস নং-৭৯৭-৮০৪ পর্যন্ত। আবূ দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড হাদীস নং ৯৩২। তিরমিযী ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ২৪৮, বুলূগুল মারাম বাংলা ৮৫ পৃষ্ঠা, কিমিয়ায়ে সায়াদাত ১ম খণ্ড ১৯০ পৃষ্ঠা। ইসলামিয়াত বি-এ হাদীস পর্ব ১৫৭ পৃষ্ঠা)


সাহাবীদের উচ্চস্বরে ‘আমীন’বলাঃ

আত্বা বলেনঃ “আমীন একটি দু‘আ। ইব্‌নু জুবায়র (রাঃ) আমীন বলেছেন এবং তাঁর পিছনের লোকেরা বলেছেন এমন কি মসজিদ আমীন ধ্বনিতে গুঞ্জরিত হয়েছিল ।” (বুখারী, তাগলীকুত তা‘লীক ২/৩১৮, হাফিয ইব্‌নু হাজার)


বড় পীর সাহেবের উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলা

শায়খ আবদুল ক্বাদীর জীলানী (রহঃ) ‘গুনায়তুত্‌ তালেবীন’ গ্রন্থে সালাতের সুন্নাতসমূহ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেনঃ

“এবং উচ্চস্বরে কেরাত পড়া ও ‘আমীন’ বলা। (গুনয়াতুত তালেবীন পৃঃ ১০, আইয়ুবিয়া প্রেসে প্রকাশিত)


মুজাদ্দিদে আল্‌ফেসানী (রহঃ)-এর উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলা । মুজাদ্দিদে আলফেসানী শায়খ আহমাদ সারহিন্দী (রহঃ) বলেনঃ “উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলার হাদীছ সমূহ বেশী এবং অতি শুদ্ধ ।” (আবকারূল মিনান পৃষ্ঠ ১৮৯)


হানাফী ‘আলিমগণের উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলা-


শায়খ ‘আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী (রহঃ) বলেনঃ

“রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা ফাতিহার শেষে আমীন বলতেন জাহরী সালাতে (অর্থাৎ মাগরিব, ইশা ও ফজরে) উচ্চস্বরে আর সিররী ছলাতে (অর্থাৎ যুহর ও ‘আসরে) নিম্নস্বরে। (মাদারিজুন নুবুওয়াত পৃষ্ঠা ২০১)


আল্লামা আবদুল হাই লক্ষ্মৌবী (রহঃ) বলেনঃ

“ন্যায়সঙ্গত কথা হলো, দলীল অনুযায়ী উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলা মজবুত ।” (আত্ তা‘লীকুল মুমাজ্জাদ ১০৩ পৃষ্ঠা)


তিনি আরো বলেনঃ

“গভীর চিন্তা গবেষণার পর আমরা উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলাকেই অতি সঠিক পেলাম। কেননা এটা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতের সাথে মিলে। আর নিম্নস্বরে ‘আমীন’ বলার রিওয়ায়াতগুলো দূর্বল তাই উচ্চস্বরে বলার রিওয়ায়াতের সমকক্ষতা করতে পারবে না ।” (আস্ সিআয়া ১/১৩৬) আমীন বলার স্বপক্ষে ১৭টি হাদীস এসেছে। (রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/২৭১) যার মধ্যে আমীন আস্তে বলার পক্ষে শু‘বা হতে একটি রিওয়ায়াত আহমাদ ও দারাকুৎনীতে এসেছে جفض أو أخفى بهما صوته অর্থাৎ আমীন বলার সময় রসূলুল্লাহ্ সল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আওয়ায নিম্ন হত। একই রিওয়ায়াতে সুফ্ইয়ান সত্তরূ (রহঃ) হতে এসেছে رفع بهما صوته অর্থাৎ তাঁর আওয়ায উচ্চ হত। হাদীস বিশারদগণের নিকট শু‘বা থেকে বর্ণিত নিম্নস্বরে আমীন বলার হাদীসটি মুযতারাব। যার সনদ ও মতনে নাম ও শব্দগত ভুল থাকার কারণে য’ঈফ। পক্ষান্তরে সুফ্ইয়ান সত্তরী (রহঃ) বর্ণিত সরবে আমীন বলার হাদীসটি এসব ক্রটি হতে মুক্ত হবার কারণে সহীহ। (দারাকুতনী হাঃ ১২৫৬ এর ভাষ্য, রওযাতুন নাদিয়াহ ১/২৭২, নায়লুল আওত্বার ৩/৭৫)


শু‘বাহ্‌র ভুলঃ

শু‘বাহ্‌র প্রথম ভুল এই যে, তিনি হুজরকে আমবাসের পিতা বলে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত কথা এই যে, হুজর আমবাসের পিতা নন, পুত্র। আর তার কুনিয়াত হচ্ছে আবা সাকান। (তিরমিযী, আহমদী ছাপা ৪৯ পৃষ্ঠা)


ও তাঁর দ্বিতীয় ভ্রান্তি এই যে, এই হাদীসের সনদে আলকামা বিন অয়েলকে অতিরিক্ত আমদানী করা হয়েছে। অথচ সনদে তাঁর উল্লেখ নাই। তাঁর তৃতীয় ভূল এই যে, হাদীসের মতনে তিনি যেখানে বলেন-রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমীন শব্দটি আস্তে বললেন প্রকৃত প্রস্তাবে তা হবে যে, তিনি আমীন সশব্দে উচ্চারণ করলেন । স্বয়ং মোল্লা আলী কারী হানাফী তদীয় মিশকাতের শরাহ মিরকাতে আকুন্ঠ ভাষায় স্বীকার করেছেন যে, হাদীসবিদগণ শো‘বার এই ভূল সম্পর্কে একমত। তিনি বলেন, সর্বস্বীকৃত সঠিক কথা হচ্ছে ‘মাদ্দাবিহা সাওতাহু ও রাফা’আ বেহা সাওতাহু অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমীনের শব্দ দারাজ করে পড়লেন এবং উচ্চকন্ঠে পড়লেন। লম্বা করে টেনে পড়ার কথা তিরমিযী, আহমাদ ও ইব্‌নু আবী শায়বা রিওয়ায়াত করেছেন আর উচ্চকন্ঠে পড়ার কথা আবু দাউদ রিওয়ায়াত করেছেন। এতদ্ব্যতীত বাইহাকী তদীয় হাদীস গ্রন্থে ও ইব্‌নু হিব্বান স্বীয় সহীতে ‘আতার বাচনিক রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন, “আমি সাহাবীগণের মধ্যে এমন দু’শত জনকে পেয়েছি যারা ইমাম ওয়ালায্যাল্লীন বলার পর বুলন্দ আওয়াজে আমীন বলতেন ।” শু’বাহ্‌র হাদীস যে যয়ীফ সে সম্পর্কে তাঁর উপরোল্লিখিত ৩টি ভ্রান্তি এবং মোল্লা আলী কারীর উপরোদ্ধৃত মন্তব্যের পর কোনই সন্দেহ থাকতে পারে না। এর উপর তার বর্ণিত সনদে দেখা যায়, আলকামা তদীয় পিতা অয়েল হতে এই হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু মজার কথা এই যে, তিনি তাঁর পিতার নিকট এই হাদীস শুনেননি-শুনতে পারেন না। এ সম্পর্কে হাফিয ইব্‌নু হাজার তদীয় ‘তক্‌রীবুত্ তাহ্‌যীব’ নামক রিজাল শাস্ত্রের গ্রন্থে কী বলেন- পাঠক মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করুন! তিনি বলেনঃ ‘আলক্বামাহ বিল অয়েল বিন হুজর-(পেশযুক্ত হা ও সাকিনযুক্ত জীম) হাজরামী কুফী (রাবী হিসাবে) সত্যবাদী (সন্দেহ নাই)। কিন্তু নিশ্চিত কথা এই যে, তিনি তাঁর পিতা হতে হাদীস শ্রবণ করেননি। পিতার নিকট হতে পুত্র কোন হাদীস শ্রবণ করতে পারেননি সে কথার রহস্য উদঘাটন করে দিয়েছেন শায়খ ইব্‌নু হুমাম হানাফী স্বীয় ফাতহুল কাদীর গ্রন্থে। তিনি ওটাতে লিখেছেনঃ অর্থাৎ ইমাম তিরমিযী স্বীয় ইলালে কবীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ইমাম বুখারীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আলকামা কি স্বীয় পিতার নিকট হাদীস শ্রবণ করেছিলেন?” তদুত্তরে ইমাম বুখারী (হাঁ, ‘না কিছুই না বলে) বললেন, তিনি (‘আলক্বামাহ) স্বীয় পিতার মৃত্যুর ৬ মাস পর জন্মগ্রহণ করেন। (দেখুন ফাতহুল কাদীর, নলকিশোর ছাপা, ১ম খণ্ড ১২১ পৃষ্ঠা)

بَاب فَضْلِ التَّأْمِينِ


عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ وَقَالَتْ الْمَلَائِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)  ১০/ আযান (كتاب الأذان)

৭৮১ | সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১০/১১২. ‘আমীন’ বলার ফযীলত।


৭৮১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ (সালাতে) ‘আমীন’ বলে, আর আসমানে মালাইকাহ্ ‘আমীন’ বলেন এবং উভয়ের ‘আমীন’ একই সময় হলে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়।* (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৫)


* যেহরী সালাতে উচ্চস্বরে আমীন না বলা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাদের আমলের বিপরীত, বরং ইমাম ও মুক্তাদির সকলেরই সরবে আমীন বলতে হবে। কেননা রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেহ্‌রী সালাতে উচ্চস্বরে আমীন বলতেন এবং ইমাম যখন আমীন বলে তখন মুক্তাদিকে আমীন বলার নির্দেশ দিতেন যেমন ৭৮০ নং হাদীস বর্ণিত। এছাড়াও তিরমিযী বর্ণিত হাদীসে আছেঃ

ওয়ায়িল বিন হুজর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে “গায়রিল মাগযূবি ‘আলাইহিম অলায্‌যাল্লীন” পড়তে শুনেছি। অতঃপর তিনি নিজের স্বরকে উচ্চ করে আমীন বলেছেন ।

(বুখারী ১ম ১০৭-১০৮ পৃষ্ঠা; মুসলিম ১৭৬ পৃষ্ঠা। আবূ দাউদ ১৩৪ পৃষ্ঠা। তিরমিযী ৫৭-৫৮ পৃষ্ঠা। নাসাঈ ১৪০ পৃষ্ঠা। ইব্‌নু মাজাহ ৬২ পৃষ্ঠা। মেশকাত ১ম খণ্ড ৭৯-৮০ পৃষ্ঠা। মুয়াত্তামালেক ১০৮ পৃষ্ঠা। ইব্‌নু খুযায়মাহ ১ম ২৮৭ পৃষ্ঠা। যাদুল মায়াদ ১ম খণ্ড ১৩২ পৃষ্ঠা। হিদায়া হিরায়াহ ১০৮ পৃষ্ঠা। মেশকাত নূর মোহাম্মদ আযমী ২য় খণ্ড ও মাদ্‌রাসা পাঠ্য হাদীস নং ৭৬৮-৭৮৭। বুখারী আযীযুল হক ১ম খণ্ড হাদীস নং ৪৫৩, বুখারী আধুনিক প্রকাশনী ১ম খণ্ড হাদীস নং ৭৩৬-৭৩৮, বুখারী ইসলামিত ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড অনুচ্ছেদসহ হাদীস নং ৭৪১-৭৪৩। মুসলিম ইঃফাঃ ২য় খণ্ড হাদীস নং-৭৯৭-৮০৪ পর্যন্ত। আবূ দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড হাদীস নং ৯৩২। তিরমিযী ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ২৪৮, বুলূগুল মারাম বাংলা ৮৫ পৃষ্ঠা, কিমিয়ায়ে সায়াদাত ১ম খণ্ড ১৯০ পৃষ্ঠা। ইসলামিয়াত বি-এ হাদীস পর্ব ১৫৭ পৃষ্ঠা)


সাহাবীদের উচ্চস্বরে ‘আমীন’বলাঃ

আত্বা বলেনঃ “আমীন একটি দু‘আ। ইব্‌নু জুবায়র (রাঃ) আমীন বলেছেন এবং তাঁর পিছনের লোকেরা বলেছেন এমন কি মসজিদ আমীন ধ্বনিতে গুঞ্জরিত হয়েছিল ।” (বুখারী, তাগলীকুত তা‘লীক ২/৩১৮, হাফিয ইব্‌নু হাজার)


বড় পীর সাহেবের উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলা

শায়খ আবদুল ক্বাদীর জীলানী (রহঃ) ‘গুনায়তুত্‌ তালেবীন’ গ্রন্থে সালাতের সুন্নাতসমূহ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেনঃ

“এবং উচ্চস্বরে কেরাত পড়া ও ‘আমীন’ বলা। (গুনয়াতুত তালেবীন পৃঃ ১০, আইয়ুবিয়া প্রেসে প্রকাশিত)


মুজাদ্দিদে আল্‌ফেসানী (রহঃ)-এর উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলা । মুজাদ্দিদে আলফেসানী শায়খ আহমাদ সারহিন্দী (রহঃ) বলেনঃ “উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলার হাদীছ সমূহ বেশী এবং অতি শুদ্ধ ।” (আবকারূল মিনান পৃষ্ঠ ১৮৯)


হানাফী ‘আলিমগণের উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলা-


শায়খ ‘আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবী (রহঃ) বলেনঃ

“রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা ফাতিহার শেষে আমীন বলতেন জাহরী সালাতে (অর্থাৎ মাগরিব, ইশা ও ফজরে) উচ্চস্বরে আর সিররী ছলাতে (অর্থাৎ যুহর ও ‘আসরে) নিম্নস্বরে। (মাদারিজুন নুবুওয়াত পৃষ্ঠা ২০১)


আল্লামা আবদুল হাই লক্ষ্মৌবী (রহঃ) বলেনঃ

“ন্যায়সঙ্গত কথা হলো, দলীল অনুযায়ী উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলা মজবুত ।” (আত্ তা‘লীকুল মুমাজ্জাদ ১০৩ পৃষ্ঠা)


তিনি আরো বলেনঃ

“গভীর চিন্তা গবেষণার পর আমরা উচ্চস্বরে ‘আমীন’ বলাকেই অতি সঠিক পেলাম। কেননা এটা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতের সাথে মিলে। আর নিম্নস্বরে ‘আমীন’ বলার রিওয়ায়াতগুলো দূর্বল তাই উচ্চস্বরে বলার রিওয়ায়াতের সমকক্ষতা করতে পারবে না ।” (আস্ সিআয়া ১/১৩৬) আমীন বলার স্বপক্ষে ১৭টি হাদীস এসেছে। (রওযাতুন নাদিইয়াহ ১/২৭১) যার মধ্যে আমীন আস্তে বলার পক্ষে শু‘বা হতে একটি রিওয়ায়াত আহমাদ ও দারাকুৎনীতে এসেছে جفض أو أخفى بهما صوته অর্থাৎ আমীন বলার সময় রসূলুল্লাহ্ সল্লালাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আওয়ায নিম্ন হত। একই রিওয়ায়াতে সুফ্ইয়ান সত্তরূ (রহঃ) হতে এসেছে رفع بهما صوته অর্থাৎ তাঁর আওয়ায উচ্চ হত। হাদীস বিশারদগণের নিকট শু‘বা থেকে বর্ণিত নিম্নস্বরে আমীন বলার হাদীসটি মুযতারাব। যার সনদ ও মতনে নাম ও শব্দগত ভুল থাকার কারণে য’ঈফ। পক্ষান্তরে সুফ্ইয়ান সত্তরী (রহঃ) বর্ণিত সরবে আমীন বলার হাদীসটি এসব ক্রটি হতে মুক্ত হবার কারণে সহীহ। (দারাকুতনী হাঃ ১২৫৬ এর ভাষ্য, রওযাতুন নাদিয়াহ ১/২৭২, নায়লুল আওত্বার ৩/৭৫)


শু‘বাহ্‌র ভুলঃ

শু‘বাহ্‌র প্রথম ভুল এই যে, তিনি হুজরকে আমবাসের পিতা বলে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত কথা এই যে, হুজর আমবাসের পিতা নন, পুত্র। আর তার কুনিয়াত হচ্ছে আবা সাকান। (তিরমিযী, আহমদী ছাপা ৪৯ পৃষ্ঠা)


ও তাঁর দ্বিতীয় ভ্রান্তি এই যে, এই হাদীসের সনদে আলকামা বিন অয়েলকে অতিরিক্ত আমদানী করা হয়েছে। অথচ সনদে তাঁর উল্লেখ নাই। তাঁর তৃতীয় ভূল এই যে, হাদীসের মতনে তিনি যেখানে বলেন-রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমীন শব্দটি আস্তে বললেন প্রকৃত প্রস্তাবে তা হবে যে, তিনি আমীন সশব্দে উচ্চারণ করলেন । স্বয়ং মোল্লা আলী কারী হানাফী তদীয় মিশকাতের শরাহ মিরকাতে আকুন্ঠ ভাষায় স্বীকার করেছেন যে, হাদীসবিদগণ শো‘বার এই ভূল সম্পর্কে একমত। তিনি বলেন, সর্বস্বীকৃত সঠিক কথা হচ্ছে ‘মাদ্দাবিহা সাওতাহু ও রাফা’আ বেহা সাওতাহু অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমীনের শব্দ দারাজ করে পড়লেন এবং উচ্চকন্ঠে পড়লেন। লম্বা করে টেনে পড়ার কথা তিরমিযী, আহমাদ ও ইব্‌নু আবী শায়বা রিওয়ায়াত করেছেন আর উচ্চকন্ঠে পড়ার কথা আবু দাউদ রিওয়ায়াত করেছেন। এতদ্ব্যতীত বাইহাকী তদীয় হাদীস গ্রন্থে ও ইব্‌নু হিব্বান স্বীয় সহীতে ‘আতার বাচনিক রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি বলেন, “আমি সাহাবীগণের মধ্যে এমন দু’শত জনকে পেয়েছি যারা ইমাম ওয়ালায্যাল্লীন বলার পর বুলন্দ আওয়াজে আমীন বলতেন ।” শু’বাহ্‌র হাদীস যে যয়ীফ সে সম্পর্কে তাঁর উপরোল্লিখিত ৩টি ভ্রান্তি এবং মোল্লা আলী কারীর উপরোদ্ধৃত মন্তব্যের পর কোনই সন্দেহ থাকতে পারে না। এর উপর তার বর্ণিত সনদে দেখা যায়, আলকামা তদীয় পিতা অয়েল হতে এই হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু মজার কথা এই যে, তিনি তাঁর পিতার নিকট এই হাদীস শুনেননি-শুনতে পারেন না। এ সম্পর্কে হাফিয ইব্‌নু হাজার তদীয় ‘তক্‌রীবুত্ তাহ্‌যীব’ নামক রিজাল শাস্ত্রের গ্রন্থে কী বলেন- পাঠক মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করুন! তিনি বলেনঃ ‘আলক্বামাহ বিল অয়েল বিন হুজর-(পেশযুক্ত হা ও সাকিনযুক্ত জীম) হাজরামী কুফী (রাবী হিসাবে) সত্যবাদী (সন্দেহ নাই)। কিন্তু নিশ্চিত কথা এই যে, তিনি তাঁর পিতা হতে হাদীস শ্রবণ করেননি। পিতার নিকট হতে পুত্র কোন হাদীস শ্রবণ করতে পারেননি সে কথার রহস্য উদঘাটন করে দিয়েছেন শায়খ ইব্‌নু হুমাম হানাফী স্বীয় ফাতহুল কাদীর গ্রন্থে। তিনি ওটাতে লিখেছেনঃ অর্থাৎ ইমাম তিরমিযী স্বীয় ইলালে কবীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ইমাম বুখারীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আলকামা কি স্বীয় পিতার নিকট হাদীস শ্রবণ করেছিলেন?” তদুত্তরে ইমাম বুখারী (হাঁ, ‘না কিছুই না বলে) বললেন, তিনি (‘আলক্বামাহ) স্বীয় পিতার মৃত্যুর ৬ মাস পর জন্মগ্রহণ করেন। (দেখুন ফাতহুল কাদীর, নলকিশোর ছাপা, ১ম খণ্ড ১২১ পৃষ্ঠা)

بَاب فَضْلِ التَّأْمِينِ


عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ وَقَالَتْ الْمَلَائِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)  ১০/ আযান (كتاب الأذان)

৭৮২ | সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১০/১১৩. মুক্তাদীর সশব্দে ‘আমীন’ বলা।


৭৮২. আবু হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ পড়লে তোমরা ‘আমীন’ বলো। কেননা, যার এ (আমীন) বলা মালাকগণের (আমীন) বলার সাথে একই সময় হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমর (রহ.) আবূ সালামাহ (রহ.) সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.)-এর মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এবং নু‘আইম- মুজমির (রহ.) আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে হাদীস বর্ণনায় সুমাই (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। (৪৪৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৬)


بَاب جَهْرِ الْمَأْمُومِ بِالتَّأْمِينِ


حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا قَالَ الإِمَامُ ‏(‏غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ‏)‏ فَقُولُوا آمِينَ‏.‏ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنُعَيْمٌ الْمُجْمِرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)  ১০/ আযান (كتاب الأذان)

৬৪০২ | সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ৮০/৬৩. আমীন বলা।


৬৪০২. ‘আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ.) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী বলেছেন, যখন ক্বারী ‘আমীন’ বলবে তখন তোমরাও আমীন বলবে। কারণ এ সময় ফেরেশতা আমীন বলে থাকেন। সুতরাং যার আমীন বলা ফেরেশতার আমীন বলার সঙ্গে মিলে যাবে, তার পূর্বের সব গুনাহক্ষমা করে দেয়া হবে। [৭৮০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪৭)


بَاب التَّأْمِينِ


حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ الزُّهْرِيُّ حَدَّثَنَاهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا أَمَّنَ الْقَارِئُ فَأَمِّنُوا، فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تُؤَمِّنُ، فَمَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)  ৮০/ দু‘আসমূহ (كتاب الدعوات)

৭৪৪ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ৫০২. ইমামের সশব্দে ‘আমীন’ বলা।


وَقَالَ عَطَاءٌ آمِينَ دُعَاءٌ. أَمَّنَ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَمَنْ وَرَاءَهُ حَتَّى إِنَّ لِلْمَسْجِدِ لَلَجَّةً. وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يُنَادِي الإِمَامَ لاَ تَفُتْنِي بِآمِينَ. وَقَالَ نَافِعٌ كَانَ ابْنُ عُمَرَ لاَ يَدَعُهُ وَيَحُضُّهُمْ، وَسَمِعْتُ مِنْهُ فِي ذَلِكَ خَيْرًا


আতা (রহঃ) বলেন, ‘আমীন’ হল দু’আ। তিনি আরও বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রাঃ) ও তাঁর পিছনের মুসুল্লীগণ এমনভাবে ‘আমীন’ বলতেন যে, মসজিদ গুমগুম আওয়ায হতো। আবূ হুরায়রা (রাঃ) ইমামকে ডেকে বলতেন, আমাকে ‘আমীন’ বলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবেন না। নাফি’ (রহঃ) বলেন, ইবন উমর (রাঃ) কখনই ‘আমীন’ বলা ছাড়তেন না এবং তিনি তাদের (আমীন বলার জন্য) উৎসাহিত করতেন। আমি তাঁর কাছ থেকে এ সম্পর্কে হাদীস শুনেছি।


৭৪৪। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম যখন ‘আমীন’ বলেন, তখন তোমারও ‘আমীন’ বলো। কেননা, যারা ‘আমীন’ (বলা) ও ফিরিশতাদের ‘আমীন’ (বলা) এক হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ‘আমীন’ বলতেন।


باب جَهْرِ الإِمَامِ بِالتَّأْمِينِ


حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ آمِينَ ‏"‏‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ১০/ আযান (كتاب الأذان)

৭৪৫ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ৫০৩. আমীন বলার ফযীলত


৭৪৫। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ (সালাতে) ‘আমীন’ বলে, আর আসমানে ফিরিশতাগণ ‘আমীন’ বলেন এবং উভয়ের ‘আমীন’ একই সময় হলে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।


باب فَضْلِ التَّأْمِينِ


حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ‏.‏ وَقَالَتِ الْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ‏.‏ فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ১০/ আযান (كتاب الأذان)

৭৪৬ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ৫০৪. মুকতাদীর সশব্দে ‘আমীন’ বলা।


৭৪৬। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ পড়লে তোমরা ‘আমীন’ বলো। কেননা, যার এ (আমীন) বলা ফিরিশতাদের (আমীন) বলার সাথে একই সময় হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।


মুহাম্মাদ ইবনু আমর (রহঃ) সূত্রে আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এবং নু’আইম- মুজমির (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় সুমাই (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন।


باب جَهْرِ الْمَأْمُومِ بِالتَّأْمِينِ


حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا قَالَ الإِمَامُ ‏(‏غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ‏)‏ فَقُولُوا آمِينَ‏.‏ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَنُعَيْمٌ الْمُجْمِرُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ১০/ আযান (كتاب الأذان)

২৯৯৭ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ "আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়


২৯৯৭। মুহাম্মদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি বালিশ তৈরী করেছিলাম। যেন তা একটি ছোট গদী। এরপর তিনি এসে দু’দরজার মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তখন আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কি অপরাধ হয়েছে? তিনি বললেন, এ বালিশটি কেন? আমি বললাম, এ বালিশটি আপনি এর উপর ঠেস দিয়ে বসতে পারেন আমি সে জন্য তৈরী করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, [হে আয়িশা] তুমি কি জানো না, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না? আর যে ব্যাক্তি প্রাণীর ছবি আকে তাকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেওয়া হবে? তাকে (আল্লাহ) বলবেন, ‘তুমি যে প্রাণীর ছবি বানিয়েছ, এখন তাকে প্রাণ দান কর।’


بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ


حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا مَخْلَدٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، أَنَّ نَافِعًا، حَدَّثَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ حَدَّثَهُ عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ حَشَوْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وِسَادَةً فِيهَا تَمَاثِيلُ كَأَنَّهَا نُمْرُقَةٌ، فَجَاءَ فَقَامَ بَيْنَ الْبَابَيْنِ وَجَعَلَ يَتَغَيَّرُ وَجْهُهُ، فَقُلْتُ مَا لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا بَالُ هَذِهِ الْوِسَادَةِ ‏"‏‏.‏ قَالَتْ وِسَادَةٌ جَعَلْتُهَا لَكَ لِتَضْطَجِعَ عَلَيْهَا‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَمَا عَلِمْتِ أَنَّ الْمَلاَئِكَةَ لاَ تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ، وَأَنَّ مَنْ صَنَعَ الصُّورَةَ يُعَذَّبُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَقُولُ أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ ‏"‏‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق)

২৯৯৮ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ "আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়


২৯৯৮। ইবনুু মুকাতিল (রহঃ) ... আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ঘরে কুকুর থাকে আর প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশ্‌তা প্রবেশ করেন না।


بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ


حَدَّثَنَا ابْنُ مُقَاتِلٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا طَلْحَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ صُورَةُ تَمَاثِيلَ ‏"‏‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ ত্বলহা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق)

২৯৯৯ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ "আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়


২৯৯৯। আহমদ (রহঃ) ... আবূ তালহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না।’ বুসর (রহঃ) বলেন, এরপর যায়িদ ইবনু খালিদ (রাঃ) অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাঁর শুশ্রুষার জন্য গেলাম। তখন আমরা তাঁর ঘরে একটি পর্দায় কিছু ছবি দেখতে পেলাম। তখন আমি (বুসর) ওবায়দুল্লাহ খাওলানী (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কি আমাদের নিকট ছবি সম্পর্কীয় হাদীস বর্ণনা করেননি? তখন তিনি বললেন, তিনি (যায়িদ ইবনু খালিদ (রহঃ) বলেছেন, প্রাণীর ছবি নিষিদ্ধ) তবে কাপড়ের মধ্যে কিছু অঙ্কন করা নিষিদ্ধ নয়, তুমি কি তা শুননি? আমি (বুসর) বললাম, না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি তা বর্ণনা করেছেন।


بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ


حَدَّثَنَا أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرٌو، أَنَّ بُكَيْرَ بْنَ الأَشَجِّ، حَدَّثَهُ أَنَّ بُسْرَ بْنَ سَعِيدٍ حَدَّثَهُ أَنَّ زَيْدَ بْنَ خَالِدٍ الْجُهَنِيَّ ـ رضى الله عنه ـ حَدَّثَهُ وَمَعَ، بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عُبَيْدُ اللَّهِ الْخَوْلاَنِيُّ الَّذِي كَانَ فِي حَجْرِ مَيْمُونَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُمَا زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ ‏"‏‏.‏ قَالَ بُسْرٌ فَمَرِضَ زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ، فَعُدْنَاهُ فَإِذَا نَحْنُ فِي بَيْتِهِ بِسِتْرٍ فِيهِ تَصَاوِيرُ، فَقُلْتُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ الْخَوْلاَنِيِّ أَلَمْ يُحَدِّثْنَا فِي التَّصَاوِيرِ فَقَالَ إِنَّهُ قَالَ ‏"‏ إِلاَّ رَقْمٌ فِي ثَوْبٍ ‏"‏‏.‏ أَلاَ سَمِعْتَهُ قُلْتُ لاَ‏.‏ قَالَ بَلَى قَدْ ذَكَرَهُ‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ ত্বলহা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা (كتاب بدء الخلق)

৫৯৬০ | সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ২৬৭৬. আমীন বলা


৫৯৬০। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কারী (ইমাম) আমীন বলবে তখন তোমরাও আমীন বলবে। কারন এ সময় ফিরিশতাগণ আমীন বলে থাকেন। সুতরাং যার আমীন বলা ফিরিশতাদের আমীন বলার সাথে মিলে যাবে, তার পূর্বের সবগুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।


باب التَّأْمِينِ


حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ الزُّهْرِيُّ حَدَّثَنَاهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا أَمَّنَ الْقَارِئُ فَأَمِّنُوا، فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تُؤَمِّنُ، فَمَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৬৭/ দু’আ (كتاب الدعوات)

৮০০ | সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা লাকাল হামদ এবং আমীন বলা


৮০০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন ইমাম আমীন বলবেন, তোমরাও তখন আমীন বলবে। কেননা, যে ব্যাক্তি ফেরেশতাদের আমীন বলার সাথে একই সময় আমীন বলবে, তার পূর্ববতী সমস্ত পাপ মোচন হয়ে যাবে। রাবী ইবনু শিহাব বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমীন বলতেন।


باب التَّسْمِيعِ وَالتَّحْمِيدِ وَالتَّأْمِينِ ‏‏


حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ آمِينَ ‏"‏ ‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة)

৮০২ | সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা লাকাল হামদ এবং আমীন বলা


৮০২। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্যে আমীন বলবে ও ফেরেশতারা আকাশের উপর আমীন বলবে এবং উভয়টি একই সময় হবে, যখন তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।


باب التَّسْمِيعِ وَالتَّحْمِيدِ وَالتَّأْمِينِ ‏‏


حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ أَبَا يُونُسَ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ آمِينَ ‏.‏ وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ ‏.‏ فَوَافَقَ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة)

৮০৩ | সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা লাকাল হামদ এবং আমীন বলা


৮০৩। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা আল কানবী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ আমীন বলবে এবং ফেরেশতারা আকাশের ওপর আমীন বলবেন, আর উভয়টি একই সময় উচ্চারিত হবে তখন তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।


باب التَّسْمِيعِ وَالتَّحْمِيدِ وَالتَّأْمِينِ ‏‏


حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ ‏.‏ وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ آمِينَ ‏.‏ فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏.‏


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)  ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة)

৯৩২ | সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে


৯৩২। ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, (সালাত আদায়কালে সূরাহ ফাতিহার শেষে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ‘‘ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন’’ পড়তেন তখন তিনি সশব্দে আমীন বলতেন।[1]


সহীহ।


[1] তিরমিযী (অধ্যায় : আবওয়াবুস সালাত, অনুঃ আমীন বলা প্রসঙ্গে, হাঃ ২৪৮), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সালাত ক্বায়িম, অনুঃ সশব্দে আমীন বলা, ৮৫৫), আহমাদ (৪/৩১৬), দারাকুতনী (১/৫/৩৩৪) ওয়ায়িল ইবনু হুজর এর হাদীস।

-

হাদীস থেকে শিক্ষা :


জেহরী ক্বিরাআতের সালাতে সূরাহ ফাতিহা শেষে ইমাম সশব্দে আমীন বলবে।

باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ حُجْرٍ أَبِي الْعَنْبَسِ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَرَأَ ‏(وَلَا الضَّالِّينَ)‏ قَالَ ‏"‏ آمِينَ ‏"‏ ‏.‏ وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهُ ‏.‏


- صحيح


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)  ২/ সালাত (كتاب الصلاة)

৯৩৩ | সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে


৯৩৩। ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সালাত আদায় করেছেন। তাতে তিনি সশব্দে ‘‘আমীন’’ বলেছেন। তিনি ডানে ও বামে এভাবে সালাম ফিরিয়েছেন যে, আমি তাঁর গালের শুভ্রতা দেখেছি।[1]


হাসান সহীহ।


[1] তিরমিযী (অধ্যায় : আবওয়াবুস সালাত, অনুঃ আমীন বলা প্রসঙ্গে, হাঃ ২৪৯)।

باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ


حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ الشَّعِيرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ حُجْرِ بْنِ عَنْبَسٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، أَنَّهُ صَلَّى خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَجَهَرَ بِآمِينَ وَسَلَّمَ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ خَدِّهِ ‏.‏


- حسن صحيح


 হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)  বর্ণনাকারীঃ ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)  ২/ সালাত (كتاب الصلاة)

৯৩৫ | সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে


৯৩৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সালাতে ইমাম যখন পড়বে ‘‘গাইরিল মাগদূবি’’ ‘আলাইহিম ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন’’ তখন তোমরা ‘‘আমীন’’ বলবে। কেননা যার কথা (আমীন বলা) ফিরিশতার কথার সাথে সাথে উচ্চারিত হবে তার পূর্বেকার গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।[1]


সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।


[1] বুখারী (অধ্যায় : আযান, অনুঃ মুক্তাদীর সশব্দে আমীন বলা, হাঃ ৭৮২), মুসলিম (অধ্যায় : সালাত)।

باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ


حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُمَىٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا قَالَ الإِمَامُ ‏(غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ)‏ فَقُولُوا ‏"‏ آمِينَ ‏"‏ ‏.‏ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏


- صحيح : ق


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)  ২/ সালাত (كتاب الصلاة)

৯৩৬ | সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে


৯৩৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (সালাতে সূরাহ ফাতিহা পাঠের পর) ইমাম যখন ‘‘আমীন’’ বলবে তখন তোমরাও ‘‘আমীন’’ বলবে। কেননা যে ব্যক্তির আমীন বলা মালায়িকাহ (ফিরিশতার) আমীন বলার সাথে মিলবে তার পূর্বেকার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সূরাহ ফাতিহা শেষে) ‘‘আমীন’’ বলতেন।[1]


সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।


[1] বুখারী (অধ্যায় : আযান, অনুঃ ইমামের সশব্দে আমীন বলা, হাঃ ৭৮০), মুসলিম (অধ্যায় : সালাত, অনুঃ তাসবীহ, তাহমীদ ও আমীন বলা) উভয়ে মালিক হতে।

-

ফায়িদাহঃ হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস ইমামের আমীন বলার ব্যাপারে সুস্পষ্ট। ইবনু ‘আবদুল বার ‘আত-তামহীদ’ গ্রন্থে (৭/১৩) বলেন, এটিই হচ্ছে অধিকাংশ মুসলিমের বক্তব্য, তাদের মধ্যে মদীনাহবাসীদের বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম মালিকও একজন।


উল্লেখ্য, ‘আমীন’ বলার পক্ষে ১৭টি হাদীস বর্ণিত হয়েছে- (রওযাতুন নাদিয়্যাহ ১/২৭১)। তন্মধ্যে ‘আমীন’ আস্তে বলার পক্ষে শু‘বাহ হতে একটি হাদীস এসেছে। কিন্তু শু‘বাহর হাদীসটি দুর্বল, মুযতারিব এবং সহীহ হাদীসসমূহেরও বিরোধী। ইমাম বুখারী সহ অন্যান্য ইমামগণ শু‘বাহর হাদীসকে দুর্বল বলেছেন। তাই সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিম সহ বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্ণিত জেহরী ক্বিরাআতের সালাতে সশব্দে ‘আমীন’ বলার বিশুদ্ধ সুন্নাতের আমল করাই উত্তম।


মুক্তাদীর সশব্দে আমীন বলাঃ


(ক) ‘আত্বা (রহঃ) বলেনঃ ‘আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) সশব্দে ‘আমীন’ বলতেন। তাঁর সাথে মুক্তাদীদের ‘আমীন’ -এর আওয়াজে মাসজিদ গুঞ্জরিত হয়ে উঠত। [সহীহুল বুখারী তা‘লীক্ব, (১/১০৭) পৃঃ; ফাতহুল বারী হা/৭৮০-৭৮১, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব, হাদীস সহীহ]


(খ) আবূ রাফি‘ বলেনঃ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) মারওয়ান ইবনু হাকামের আযান দিতেন। ... মারওয়ান যখন ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন বলতেন তখন আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) দীর্ঘ আওয়াজে ‘আমীন বলতেন। [বায়হাক্বী (২/৫৯) সহীহ সনদে]


(গ) ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইহুদীরা তোমাদের সবচেয়ে বেশি হিংসা করে তোমাদের ‘সালাম’ ও ‘আমীন’ বলার কারণে। (আহমাদ, ইবনু মাজাহ, ইবনু খুযাইমাহ, ত্বাবারানী। এ হাদীস মুক্তাদীর সশব্দে আমীন বলার অন্যতম প্রমাণ)


এছাড়া আবূ দাউদের আলোচ্য (৮৩৫-৮৩৬ নং) হাদীস দু’টিও মুক্তাদীর সশব্দে আমীন বলা প্রমাণ করে।

-

কতিপয় মাসআলাহঃ


(১) মুক্তাদী ইমামের আগে ‘আমীন’ বলবেন না বরং ইমামের ‘আমীন’ বলার সাথে সাথে ‘আমীন’ বলবেন।


(২) জেহরী ক্বিরাআতের সালাতে ইমাম যদি সশব্দে ‘আমীন’ না বলেন, কিংবা নীরবে বলেন, তবুও মুক্তাদী সশব্দে ‘আমীন’ বলবেন।


(৩) যদি কেউ ‘আমীন’ বলার সময় জামা‘আতে যোগদান করেন, তবে তিনি প্রথমে ‘আমীন’ বলে নিবেন ও পরে চুপে চুপে সূরাহ ফাতিহা পাঠ করবেন। (সালাতুর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃঃ ৬০-৬১, ও অন্যান্য)

باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ


حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ آمِينَ ‏"‏ ‏.‏


- صحيح : ق


 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ   সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)  ২/ সালাত (كتاب الصلاة)

৯৩৭ | সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)

বাংলা/ العربية

English

পরিচ্ছেদঃ ১৭২. ইমামের পিছনে আমীন বলা প্রসঙ্গে


৯৩৭। বিলাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমার আগে ‘‘আমীন’’ বলবেন না। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সূরাহ ফাতিহা পাঠ শেষ হয়ে যেতো অথচ তখনও বিলালের (রাঃ) পড়া শেষ হতো না। তাই তিনি এ কথা বলতেন)।[1]


দুর্বল।


[1] আহমাদ (৬/১২, ১৫), বায়হাক্বী ‘সুনান’ (২/২৩), হাকিম (১/২১৯) বামাম হাকিম বলেন, এই হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। তবে তাঁরা এটি বর্ণনা করেননি। যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। ডঃ সাইয়্যিম মুহাম্মাদ সাইয়্যিদ বলেন : বরং সানাদটি দুর্বল। সনদে ইনকিতা (বিচ্ছিন্নতা) হয়েছে। আবূ ‘উসমান হাদীসটি বিলাল হতে শুনেননি।

باب التَّأْمِينِ وَرَاءَ الإِمَامِ


حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ رَاهَوَيْهِ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ بِلَالٍ، أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ لَا تَسْبِقْنِي ‏"‏ بِآمِينَ ‏"‏ ‏.‏


- ضعيف

No comments:

Post a Comment

কুরআনের কিছু আয়াত

 কুরআনের কিছু আয়াত এখানে এমন কিছু কুর'আনের আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো আমাদের অন্তরকে শীতল করবে এবং পরকালীন প্রস্তুতি নিতে সাহায্য ক...