সালাত আদায় করার পদ্ধতি
দলিলসহ দেওয়া আছে,,, আপনার ইচ্ছা হলে মানবেন আর না হলে নাই । কারন আপনার জবাব আপনি দিবেন আর আমার জবাব আমি দিবো।
সংক্ষেপে তাকবীর থেকে সালাম পর্যন্ত:
রাসুল (সঃ) বলেছেন, তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছো, ঠিক সেভাবেই সালাত আদায় করো। / বোখারী, মিসকাত হাঃ ৬৮৩/
১. সালাতের শুরুতে মুখে নিয়ত (নাওয়াইতুয়ান...) বলা বিদআত। মনে মনে নিয়ত করতে হবে
(বুখারী-১ মিশকাত-১)
***জায়নামাজে দাঁড়িয়ে "ইন্নি ওয়াজ্জাহতু...পড়া বিদআত। (তবে সানা হিসেবে নিয়ত বাধাঁর পর পড়া যাবে) (মুসলিম, সহীহ ৭৭১,
২.ক্বিবলামুখী হয়ে "আল্লাহু আকবার'' বলে দুই হাত কাঁধ বা কান বরাবর উঠাবে (কিন্তু কান স্পর্শ করবে না)(বুখারী ৭৩৫ মিশকাত ৭৯০,৭৯৩ আবু দাউদ ৭২৬)
৩.বাম হাতের উপর ডান হাত বুকের উপর রাখবে (আবু দাউদ ৭৫৯ বুখারী ৭৪০)
৪.জামাতের সাথে সালাত আদায় করলে কাতারের মাঝে পরস্পরের পায়ের সাথে পা, টাখনুর সাথে টাখনু এবং কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে। (দুইজন মুছল্লীর মাঝে ফাঁক রাখা সুন্নাত বিরুধী) (বুখারী ৭২৫ মিশকাত ১১০২)
৫.সিজদার স্থান বা তার কাছাকাছি সীমার মধ্যে দৃষ্টি রাখবে।( বাইহাকি, হাকেম ১৭৬১)
-
৬.ছানা পাঠ করবে "আল্লাহুম্মা বাইদ বায়নী"
(বুখারী ৭৪৪)
অথবা "সুবাহানাকাল্লাহুম্মা" (মুসলিম) আবূদাঊদ, সুনান ৭৭৬, তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান ৮০৬, ত্বাহাবী ১/১১৭, দারাক্বুত্বনী, সুনান ১১৩,
অথবা "ইন্নি ওয়াজ্জাহতু" (মুসলিম, সহীহ ৭৭১,/
৭..ক))আঊযুবিল্লাহ -বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা পাঠ করবে (বুখারী ৭৫৬ ইবনে মাজাহ ৮৪৩ মুসলিম ৯০৪ মিশকাত ৮২৩)
খ)).পরের রাক'আত গুলোতে বিসমিল্লাহ বলে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে।
(মুসলিম, সহীহ ৫৯৯ নং, আহমাদ, মুসনাদ) শুরুতে ‘আঊযু বিল্লাহ্---’ও পড়া যায়। না পড়লেও ধর্তব্য নয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্হ, ইবনে উষাইমীন ৩/১৯৬)
গ))মুছল্লী একাকী হলে বা যোহর ও আছর সালাতে ইমামের পিছনে প্রথম দুই রাক'আতে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা বা কিছু আয়াত পাঠ করবে।পরের দুই রাক'আতে শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করবে।
বুখারী ও মুসলিম। /ইবনে মাজাহ ৮৪৩/
৮. সূরা ফাতিহা শেষে আমিন বলবে।ইমামের পিছনে জেহরী সালাতে সূরা ফাতিহা শেষে উচ্চস্বরে আমিন বলবে (আবু দাউদ ৯৩২,৯৩৩ তিরমিযী ২৪৮ ইবনে মাজাহ ৮৫৬ বুখারী ৭৮০)
-
৯.ক্বিরা'আত শেষে "আল্লাহু আকবার" বলে দুই হাত কাঁধ বা কান পর্যন্ত উঠিয়ে (রাফউল ইয়াদায়েন করে) রুকুতে যাবে।(বুখারী ৭৩৫-৭৩৯)
-
১০.দুই হাত দ্বারা দুই হাঁটু শক্ত করে ধরে ভর দিয়ে পিঠ ও মাথা সোজা রাখবে। হাঁটুসহ দুই পা ও সোজা রাখবে। হাতের আঙ্গুলগুলো ফাঁকা রাখবে।(বুখারী ৮২৮ মিশকাত ৭৯১,২)
-
১১.অত:পর কমপক্ষে ৩ বার সুবহানা রব্বিয়াল আযীম পড়বে। আহমাদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, দারাকুতনী, বাযযার, ইবনু খুযাইমাহ (৬০৪)
(মিশকাত ৮৮১)
-
১২.রুকু থেকে উঠার সময় "সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ" বলবে।(বুখারী ৭৯৫)
-
১৩.অত:পর রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে প্রশান্তির সাথে দাঁড়াবে এবং কাঁধ বা কান বরাবর দুই হাত উঠিয়ে "রাফউল ইয়াদায়েন " করবে।(বুখারী ৭৩৫-৭৩৯)
-
১৪.তারপর বলবে "রব্বানা লাকাল হামদ"(বুখারী ৭৩৩) অথবা "রব্বানা লাকাল হামদ হামদান কাছীরান ত্বাইয়িবাম মুবারাকা ফীহি (মিশকাত ৮৭৭)
-
১৫.রাসূল (সা:) রুকু থেকে উঠে এমনভাবে দাঁড়াতেন যে মেরুদন্ডের হাড় যথাস্থানে ফিরে আসত।(বুখারী ৮০০-৮২৮) আবু দাউদ, 'ছহীহ আবু দাউদ (৭২২)। الفقار যবর দ্বারা এর অর্থ মেরুদণ্ডের হাড় যা ঘাড় থেকে নিয়ে পশুর লেজের সূচনাস্থল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ‘কামূস’ ও ফাতহুল বারী দ্রষ্টব্য। (২/৩০৮
-
১৬.রাসূল (সা:) এর রুকু, সিজদা,রুকু থেকে মাথা উঠানো,দুই সিজদাহের মধ্যবর্তী সময় প্রায় সমান হত।(বুখারী ৮০১)
-
১৭.তারপর আল্লাহু আকবার বলে প্রথমে দুই হাত ও পরে দুই হাঁটু মাটিতে রেখে সিজদায় যাবে (মিশকাত ৮৯৯ আবু দাউদ ৮৪০)
-
১৮.হাত দুইটি ক্বিবলামুখী করে হাতের উপর ভর দিয়ে
মাথার দুই পাশে কাঁধ বরাবর রাখবে। হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবে।
আবু দাউদ, হাকিম, তিনি একে ছহীহ বলেছেন ও যাহাবী তাতে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। [5] ইবনু খুযাইমাহ, বাইহাকী, হাকিম একে ছহীহ বলেছেন ও যাহাবী তাতে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। [6] ছহীহ সনদে বাইহাকী, ইবনু আবী শাইবা (১/৮২/২) ও সাররাজ, অন্য সূত্রে তাওজীহুল আছাবি' গ্রন্থে। [7] আবু দাউদ, তিরমিযী এবং তিনি ও ইবনুল মুলাকিন একে ছহীহ বলেছেন (২৭/২) এটি “আল ইরওয়া’ উদ্ধৃত হয়েছে। (৩০৯) [8] আবু দাউদ ও নাসাঈ ছহীহ সনদে।
(বুলগুল মারাম ২৯৭)
-
১৯.কনুই উঁচু রাখবে ও বগল ফাঁকা রাখবে (বুখারী ৮০৭) আবু দাউদ। বুখারী ও মুসলিম, এটি 'আল ইরওয়াতে' (৩৫৯) উদ্ধৃত হয়েছে। এখানে মূল হাদীছে البهمة শব্দ রয়েছে যা البهم শব্দের একবচন, এর অর্থ হচ্ছে বকরীর বাচ্চা। [মুসলিম, আবু উওয়ানাহ ও ইবনু হিব্বান। মুসলিম ও আবু উওয়ানাহ।
-
২০.সিজদা লম্বা হবে ও পিঠ সোজা থাকবে। যেন নীচ দিয়ে একটি বকরীর বাচ্চা যাওয়ার মত ফাঁকা থাকে।(মিশকাত ৮৯০)
-
২১.দুই পা খাড়া করে এক সাথে মিলিয়ে রাখবে (মিশকাত ৮৯৩) এ সময় আঙ্গুলগুলো ক্বিবলামুখী করে রাখবে (বুখারী ৮২৭)
-
২২.কমপক্ষে ৩ বার "সুবহানা রব্বিয়াল আলা" বলবে অথবা ৩ বারের বেশি বলবে।
(ইবনু মাজাহ ৮৮৮)আহমাদ, আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, দারাকুতনী, ত্বাহাবী, বাযযার, ত্বাবরানী, “আল কাবীর” গ্রন্থে সাতজন ছাহাবী থেকে। রুকুর যিকর (পৃষ্ঠা- ১১৫-১১৬) এর টীকা দ্রষ্টব্য। প্রাগুক্ত।
২৩.সিজদা থেকে উঠে বাম পায়ের পাতার উপরে বসবে। /আবু দাউদ ৭৩০/বুখারী, মুসলিম, সহীহ ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩১৬নং)
এবং ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখবে। এ সময় প্রশান্তির সাথে বসবে।
বুখারী ৮২৮, বায়হাকী, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (সাঃ), আলবানী ১৫১পৃ:) আর এই পায়ের আঙ্গুল গুলোকে কেবলামুখী করে রাখতেন। (সহিহ,নাসাঈ, সুনান ১১০৯ নং)
২৪. দুই সিজদাহের মাঝখানে বলবে "রব্বিগফিরলী,রব্বিগফিরলী(মিশকাত ৯০১) অথবা "আল্লাহুম্মা গফিরলী, ওয়ারহামনী, ওয়াজবুরনী, ওয়াদিনী, ওয়াআফিনী, ওয়ারযুক্বনী" (মিশকাত ৯০০ তিরমিযী ২৮৪)
-
২৫.তারপর "আল্লাহু আকবার" বলে ২য় সিজদায় যাবে ও দু'আ পড়বে। আবূদাঊদ, সুনান ৮৫৭ নং,হাকেম, মুস্তাদরাক, ইবনু মাজাহ ৮৮৮