Pages

Thursday, April 18, 2024

কুরআনের কিছু আয়াত

 কুরআনের কিছু আয়াত

এখানে এমন কিছু কুর'আনের আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো আমাদের অন্তরকে শীতল করবে এবং পরকালীন প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে । (ইন শা আল্লাহ্)

"আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।" -(সূরা ফাতিহা, আয়াত: ৫-৭)

"যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখিরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ৩-৫)

"হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর, যিনি তোমাদিগকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে সৃষ্টি করেছেন। তাতে আশা করা যায়, তোমরা পরহেযগারীতা অর্জন করতে পারবে।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২১)

"কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছো? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৮)

"তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে গোপন করো না।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ৪২)

"আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ৪৩)

"ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ৪৫)

"বাস্তব সত্য সেটাই যা তোমার পালনকর্তা বলেন। কাজেই তুমি সন্দিহান হয়ো না।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ১৪৭)

"আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ১৫৪)

"এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ১৫৫)

"যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে: নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো । তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হিদায়েত প্রাপ্ত। -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ১৫৬-১৫৭)

"আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।" -(সূরা বাকারাহ্ , আয়াত: ১৯০)

"হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২০৮)

"তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে! তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২১৪)

"তোমাদের প্রতি যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২১৬)

"যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৫৭)

"যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বর্ধিত করে দেন । বস্তুতঃ আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, সর্বজ্ঞ।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৬১)

"শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৬৮)

"হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৭৮)

"ঐ দিনকে ভয় কর, যে দিন তোমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার কর্মের ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোন রূপ অবিচার করা হবে না।" -(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৮১)

'নিশ্চয়ই যারা কুফরী করে তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর সামনে কোন কাজে লাগবে না এবং তারাই আগুনের ইন্ধন। ' Al-Quran (3:10)

'নিশ্চয় আল্লাহ আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক, অতএব তাঁর ‘ইবাদাত কর, এটাই সরল পথ’। ' Al-Quran (3:51)

'আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইবে কক্ষনো তার সেই দ্বীন কবূল করা হবে না এবং আখেরাতে সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ' Al-Quran (3:85) 

'হে মু’মিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর যেমনভাবে তাঁকে ভয় করা উচিত। তোমরা মুসলিম না হয়ে কক্ষনো মরো না। ' Al-Quran (3:102) 

'ভয় কর সেই আগুনকে, যা কাফিরদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।' Al-Quran (3:131) 

'দেশে দেশে কাফিরদের সদম্ভ পদচারণা তোমাকে যেন বিভ্রান্ত না করে। ' Al-Quran (3:196) 

'নিশ্চয়ই যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ ক’রে বসে, তৎপর সত্বর তাওবাহ করে, এরাই তারা যাদের তাওবাহ আল্লাহ কবূল করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহাবিজ্ঞানী। ' Al-Quran (4:17) 

'আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চান, পক্ষান্তরে কুপ্রবৃত্তির অনুসারীরা চায় যে, তোমরা (আল্লাহর নিকট হতে) দূরে বহু দূরে সরে যাও। ' Al-Quran (4:27) 

'আল্লাহ তোমাদের শত্রুদেরকে ভালভাবে জানেন, অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। ' Al-Quran (4:45) 

'হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত হও এবং রসূলের অনুগত হও এবং তোমাদের মধ্যকার কর্তৃস্থানীয় ব্যক্তিগণের; যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সেই বিষয়কে আল্লাহ এবং রসূলের (নির্দেশের) দিকে ফিরিয়ে দাও যদি তোমরা আল্লাহ এবং আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান এনে থাক; এটাই উত্তম এবং সুন্দরতম মর্মকথা। ' Al-Quran (4:59) 

'তারা কি কুরআনের মর্ম বিষয়ে চিন্তে-ভাবনা করে না? যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট হতে আসত, তবে তাতে তারা অবশ্যই বহু অসঙ্গতি পেত। ' Al-Quran (4:82) 

'যে ব্যক্তি ভাল কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে (সাওয়াবের) অংশ আছে এবং যে মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে অংশ আছে, আল্লাহ সকল বিষয়ে খোঁজ রাখেন। ' Al-Quran (4:85) 

'তারা আল্লাহকে ছেড়ে শুধু কতকগুলো দেবীরই পূজা করে, তারা কেবল আল্লাহদ্রোহী শায়ত্বনের পূজা করে। ' Al-Quran (4:117) 

'মুনাফিকদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দাও যে, তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।' Al-Quran (4:138) 

'হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিনদের পরিবর্তে কাফিরদেরকে তোমাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তোমরা কি তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেশ করতে চাও? ' Al-Quran (4:144) 

'তুমি কি জান না আল্লাহ, আকাশসমূহ ও যমীনের সার্বভৌমত্ব তাঁরই, যাকে ইচ্ছে তিনি শাস্তি দেন, যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। ' Al-Quran (5:40) 

'তারা কি জাহিলী যুগের আইন বিধান চায়? দৃঢ় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আইন-বিধান প্রদানে আল্লাহ হতে কে বেশী শ্রেষ্ঠ? ' Al-Quran (5:50)

'হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদ ও নাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না। ' Al-Quran (5:51) 

'তোমাদের বন্ধু কেবল আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মু’মিনগণ যারা নামায কায়িম করে, যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে অবনত হয়। ' Al-Quran (5:55) 

'বল, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে কি এমন কিছুর ‘ইবাদাত করছ যাদের না আছে কোন ক্ষতি করার ক্ষমতা, আর না আছে উপকার করার। আর আল্লাহ তিনি হলেন সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। ' Al-Quran (5:76) 

'হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া আর মূর্তী ও ভাগ্য নির্ধারক তীর ঘৃণিত শয়তানী কাজ, তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সাফল্যমন্ডিত হতে পার। ' Al-Quran (5:90) 

'বল, অপবিত্র আর পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্র বস্তুর প্রাচুর্য তোমাকে আকৃষ্ট করে। কাজেই হে জ্ঞানী সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। ' Al-Quran (5:100) 

'আল্লাহ তোমার কোন ক্ষতি করতে চাইলে তিনি ছাড়া কেউ তা সরাতে পারবে না। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ করতে চান, তবে তো সব কিছুই করার তাঁর ক্ষমতা রয়েছে। ' Al-Quran (6:17) 

'দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য পরকালের জীবনই অতি কল্যাণময়, তবুও কি তোমাদের বোধদয় হবে না? ' Al-Quran (6:32) 

'বল, তোমরা কি চিন্তা করে দেখেছ, যদি তোমাদের কাছে আকস্মিক বা প্রকাশ্যে আল্লাহর শাস্তি নেমে আসে তাহলে যালিম সম্প্রদায় ছাড়া আর কে ধ্বংস হবে? ' Al-Quran (6:47) 

'তুমি যদি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের অনুসরণ কর তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে ফেলবে, তারা তো কেবল আন্দাজ-অনুমানের অনুসরণ করে চলে, তারা মিথ্যাচার ছাড়া কিছু করে না। ' Al-Quran (6:116) 

'তোমার রবব খুব ভাল করেই জানেন কে তাঁর পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়ে গেছে আর তিনি হিদায়াতপ্রাপ্তদের সম্পর্কেও সর্বাধিক অবহিত। ' Al-Quran (6:117) 

'বল, আমার নামায, আমার যাবতীয় ‘ইবাদাত, আমার জীবন, আমার মরণ (সব কিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই (নিবেদিত)। ' Al-Quran (6:162) 

'সেদিনের ওজন হবে ঠিক ঠিক। ফলে যাদের পাল্লা ভারী হবে তারা সফলকাম হবে। ' Al-Quran (7:8) 

'প্রতিটি জাতির জন্য সময় নির্ধারিত আছে। তাদের নির্ধারিত সময় যখন এসে যাবে তখন এক মুহূর্তকাল পশ্চাৎ-অগ্র হবে না। ' Al-Quran (7:34) 

'জাহান্নামীরা জান্নাতীদের ডেকে বলবে, ‘আমাদেরকে কিছু পানি ঢেলে দাও কিংবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিযক্ দিয়েছেন তাত্থেকে কিছু দাও।’ তারা বলবে, ‘আল্লাহ এ দু’টো কাফিরদের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।’ ' Al-Quran (7:50) 

'স্মরণ কর, যখন তাদের একদল বলেছিল- ‘তোমরা এমন লোকদেরকে কেন নাসীহাত করছ যাদেরকে আল্লাহ ধ্বংস করবেন অথবা কঠিন শাস্তি দিবেন’। নাসীহাতকারীগণ বলেছিল, ‘তোমাদের প্রতিপালকের নিকট (দায়িত্ব পালন না করার) অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আর তারা যাতে তাক্বওয়া অবলম্বন করে।’ ' Al-Quran (7:164) 

'তারা কি আসমান-যমীনের রাজত্বে আর আল্লাহ যে সব বস্তু সৃষ্টি করেছেন তাতে কিছুই দেখে না? তারা কি চিন্তা করে না যে হয়ত তাদের জীবনের মেয়াদ নিকটেই এসে গেছে? এরপর তারা কোন বাণীর উপর ঈমান আনবে? ' Al-Quran (7:185)

'তোমার প্রতিপালককে মনে মনে বিনয়ের সঙ্গে ভয়-ভীতি সহকারে অনুচ্চস্বরে সকাল-সন্ধ্যায় স্মরণ কর আর উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না। ' Al-Quran (7:205) 

মু’মিন তো তারাই আল্লাহর কথা আলোচিত হলেই যাদের অন্তর কেঁপে উঠে, আর তাদের কাছে যখন তাঁর আয়াত পঠিত হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে আর তারা তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে। ' Al-Quran (8:2)

'হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন যোদ্ধা-বাহিনীরূপে কাফিরদের সম্মুখীন হও, তখন তাদেরকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে না। ' Al-Quran (8:15)

'তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা বলেছিল, ‘আমরা শুনলাম’; প্রকৃতপক্ষে তারা শোনেনি। ' Al-Quran (8:21) 

'হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা কোন বাহিনীর সম্মুখীন হবে তখন অবিচল থাকবে আর আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার। ' Al-Quran (8:45) 

'যারা ঈমান এনেছে, হিজরাত করেছে, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে আর যারা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, সাহায্য-সহযোগিতা করেছে- তারাই প্রকৃত ঈমানদার। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর সম্মানজনক জীবিকা। ' Al-Quran (8:74) 

'তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদেরকে এমনিই ছেড়ে দেয়া হবে যে পর্যন্ত আল্লাহ জেনে না নেবেন তোমাদের মধ্যে কারা তাঁর পথে জিহাদ করেছে, আর আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মু’মিনদের ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেন নি? তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ বিশেষভাবে অবহিত। ' Al-Quran (9:16) 

'তারা কি জানে না যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরোধিতা করে তার জন্য আছে জাহান্নামের আগুন যেখানে সে হবে চিরস্থায়ী? আর এটা খুবই লাঞ্ছনার ব্যাপার। ' Al-Quran (9:63) 

'নাবী ও মু’মিনদের জন্য শোভনীয় নয় মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তারা আত্মীয়-স্বজন হলেও, যখন এটা তাদের কাছে সুস্পষ্ট যে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী। ' Al-Quran (9:113) 

'ওহে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যপন্থীদের অর্ন্তভুক্ত হও। ' Al-Quran (9:119) 

'নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে মুত্তাকী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। ' Al-Quran (10:6) 

'তাদের অধিকাংশই কেবল ধারণার অনুসরণ করে, সত্যের মুকাবালায় ধারণা কোন কাজে আসে না। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ সর্বাধিক অবগত।' Al-Quran (10:36) 

'অবশ্যই আল্লাহ মানুষদের প্রতি কোন যুলম করেন না, কিন্তু মানুষ নিজেদের প্রতি যুলম ক’রে থাকে। ' Al-Quran (10:44) 

'বল, ‘‘হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের কাছে প্রকৃত সত্য এসে পৌঁছেছে। অতঃপর যে সঠিক পথ অবলম্বন করবে, সে নিজের কল্যাণের জন্যই সঠিক পথ ধরবে। আর যারা পথভ্রষ্ট হবে তারা পথভ্রষ্ট হবে নিজেদেরই ক্ষতি করার জন্য, আমি তোমাদের হয়ে কাজ উদ্ধার করে দেয়ার কেউ নই। ' Al-Quran (10:108) 

'যমীনে বিচরণশীল এমন কোন জীব নেই যার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর উপর নেই, তিনি জানেন তাদের থাকার জায়গা কোথায় আর কোথায় তাদেরকে (মৃত্যুর পর) রাখা হয়, সব কিছুই আছে সুস্পষ্ট লিপিকায়। ' Al-Quran (11:6) 

'সে দিন যখন আসবে তখন তাঁর অনুমতি ছাড়া কেউ মুখ খুলতে পারবে না, তাদের কেউ হবে হতভাগা, আর কেউ হবে সৌভাগ্যবান। ' Al-Quran (11:105) 

'যারা ঈমান আনে না তাদেরকে বল, ‘তোমরা নিজেদের মত ও পথে থেকে কাজ করে যাও, আমরা (আমাদের) কাজ করছি। আর তোমরা অপেক্ষা কর, আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম।’ ' Al-Quran (11: 121-122) 

'অধিকাংশ মানুষ আল্লাহতে বিশ্বাস করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।' Al-Quran (12:106) 

'তারা কি নিশ্চিন্ত যে, আল্লাহর সর্বগ্রাসী ‘আযাব তাদের উপর এসে পড়বে না? কিংবা হঠাৎ ক্বিয়ামাত তাদের উপর এসে পড়বে না যা তারা টেরও পাবে না? ' Al-Quran (12:107) 

'মানুষের সামনে ও পেছনে পাহারাদার নিযুক্ত আছে যারা আল্লাহর হুকুম মোতাবেক তাকে রক্ষণাবেক্ষণ করে। আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরাই তাদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অকল্যাণ করতে চাইলে তা রদ করার কেউ নেই, আর তিনি ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক নেই। ' Al-Quran (13:11) 

'তিনিই তোমাদেরকে দেখান বিদ্যুৎ ভীতিকর ও আশা সঞ্চারক। তিনিই উত্তোলিত করেন মেঘ, (প্রবৃদ্ধির) বৃষ্টিতে ভারাক্রান্ত। ' Al-Quran (13:12) 

'আসমানে আর যমীনে যা কিছু আছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর প্রতি সাজদায় অবনত হয় আর তাদের ছায়াগুলোও। ' Al-Quran (13:15) 

'বল, আকাশ ও যমীনের প্রতিপালক কে? বল, আল্লাহ। বল, তোমরা কি তাঁকে বাদ দিয়ে এমন অভিভাবক গ্রহণ করেছ যাদের নিজেদের কোন লাভ-লোকসান করার ক্ষমতা নেই। বল, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান? কিংবা অন্ধকার আর আলো কি সমান? কিংবা তারা কি আল্লাহর অংশীদার বানিয়েছে তাদেরকে যারা তাঁর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করেছে, যে কারণে সৃষ্টি তাদের কাছে সমান মনে হয়েছে? বল, আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, তিনি এক, মহা প্রতাপশালী। ' Al-Quran (13:16) 

'তারাই ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমেই দিলের সত্যিকারের প্রশান্তি লাভ করা যায়। 'যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, সৌভাগ্য তাদেরই, উত্তম পরিণাম তাদের জন্যই। ' Al-Quran (13: 28-29) 

'আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন নিশ্চিহ্ন করে দেন আর যা ইচ্ছে প্রতিষ্ঠিত রাখেন, উম্মুল কিতাব তাঁর নিকটই রক্ষিত। ' Al-Quran (13:39) 

'ওদের আগে যারা ছিল তারাও চক্রান্ত করেছিল, যাবতীয় চক্রান্ত আল্লাহর আয়ত্তাধীন। তিনি জানেন প্রত্যেক ব্যক্তি কী কামাই করছে। আর কাফিরগণ অচিরেই জানতে পারবে ভাল পরিণাম কাদের জন্য। ' Al-Quran (13:42) 

'স্মরণ কর, যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করেন, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য (আমার নি‘য়ামাত) বৃদ্ধি করে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও (তবে জেনে রেখ, অকৃতজ্ঞদের জন্য) আমার শাস্তি অবশ্যই কঠিন। ' Al-Quran (14:7)

'তুমি কি দেখ না কীভাবে আল্লাহ দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন? উৎকৃষ্ট বাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট গাছের ন্যায় যার মূল সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত আর শাখা-প্রশাখা আকাশপানে বিস্তৃত। ' Al-Quran (14:24) 

'স্মরণ কর, ইবরাহীম যখন বলেছিল, ‘হে আমার রব্ব! তুমি এ নগরীকে নিরাপদ কর আর আমাকে আর আমার সন্তানদেরকে প্রতিমা পূজা থেকে রক্ষে কর। ' Al-Quran (14:35)

'যেদিন এ পৃথিবী বদলে গিয়ে অন্য এক পৃথিবীতে রূপান্তরিত হবে আর আসমানসমূহও (বদলে যাবে), আর মানুষ সমুস্থাপিত হবে এক ও অপ্রতিরোধ্য আল্লাহর সম্মুখে। ' Al-Quran (14:48) 

'সেদিন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে শৃঙ্ক্ষলে তাদের হাত পা শক্ত করে বাঁধা। তাদের পোশাক হবে আলকাতরার আর আগুন তাদের মুখমন্ডল আচ্ছন্ন করবে। ' Al-Quran (14 : 49-50) 

'এমন একটা সময় আসবে যখন কাফিরগণ আক্ষেপ করে বলবে, ‘হায়, আমরা যদি মুসলিম হয়ে যেতাম!’ ' Al-Quran (15:2) 

'কোন জাতিই তাদের নির্দিষ্ট কালকে অগ্র-পশ্চাৎ করতে পারে না। ' Al-Quran (15:5) 

'আর তোমার রবেবর ‘ইবাদাত করতে থাক তোমার সুনিশ্চিত ক্ষণের (অর্থাৎ মৃত্যুর) আগমন পর্যন্ত।' Al-Quran (15:99)


অবিশ্বাসীদের জন্য কোরআনের চ্যালেঞ্জ

 অবিশ্বাসীদের জন্য কোরআনের চ্যালেঞ্জ

ইহা ঐ গ্রন্থ যার মধ্যে কোন সন্দেহ- সংশয়ের অবকাশ নেই। ধর্মভীরুদের জন্য এ গ্রন্থ পথ নির্দেশ।
(সূরা বাকারা, ২:২)
আমরা কি নিজেরাই নিজেদের স্রষ্টা ?
♦️ আমাদের বীর্য কি আমরাই সৃষ্টি করেছি?
✴️ আমাদের চোখ কপালের নিচে না হয়ে বোগলের নিচে কেন হয় নি?
✴️ দাঁত মুখের ভিতর না হয়ে কানের ভেতর হয় নি কেন?
♨️ নখগুলো মাথার উপর গজায় নি কেন?
✴️ আসমান, জমিন কে সৃষ্টি করল?
🙋 কে এত সুন্দরভাবে প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতেছে?
♨️ প্রকৃতির স্রষ্টা কে?
♨️ কে পৃথিবীতে প্রেরণ করল আমাদের?
♦️ মায়ের গর্ভে কে আমাদের নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রেখেছিল? সেখানে কে আমাদের খাবারের যোগান দিয়েছিল? দুনিয়াতে ভূমিষ্ট হওয়ার সাথে সাথে কে মায়েদের স্তনে শাল দুধের ব্যবস্থা করল?
♨️ পৃথিবী যে গোলাকার(উট পাখির ডিমের মতো), চাঁদের আলো তার নিজস্ব আলো নয়, প্রতিটি গ্রহ তার নিজ কক্ষপথে ঘুরছে(অত্যন্ত শৃঙ্খলার সাথে), মাতৃগর্ভে তিনটা স্তরের কথা ও সেখানে শিশুর বিকাশ, পানি চক্র, মহাকাশ, প্রানি বিজ্ঞান, ভূ- তত্ত্ব বিজ্ঞান, স্ত্রী মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে, সবার হাতের ছাপ মানে ফিঙ্গার প্রিন্ট আলাদা, এরকম হাজারো নির্ভুল বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্পর্কে একজন নিরক্ষর মরুভূমি বাসীকে প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বে কে কোন কিতাব নাজিল করে জানিয়েছিলেন?
♨️ মহাবিশ্ব যে সম্প্রসারিত হচ্ছে বিজ্ঞান একথা কিছুদিন আগে জেনেছে গবেষণা করে, কিন্তু স্রষ্টা ব্যতীত আর কে এ তথ্য দিতে পারে প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বে?
♨️ ফল- মুল, শস্য-দানা গুলোকে কে Packaging করতেছেন এত নিখুঁত ভাবে? এটা না হলে তো সব খাবার জিনিস নষ্ট হয়ে যেত। যেমন- খোসা/খোলস ছাড়া কলা, কমলা, বেদানা/ডালিম ( ভিতরে কত নিপুণভাবে সাজানো) পেঁয়াজ, রশুন, লিচু, ধান, আম ,কাঁঠাল, ডিম, আলু ইত্যাদি)
🕵️ হাঁস এবং মুরগির পা, ঠোঁট, ও শারীরিক গঠন আলাদা কেন ও কিভাবে হলো?
♨️ কারিগর বা মিস্ত্রী ছাড়া যেমন সামান্য একটা নৌকা কিংবা বাড়ি তৈরি হয় না তেমনি এ পৃথিবী ও মহাবিশ্ব স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হয়েছে কি?
♻️ "জান্নাতের একটি দরজার প্রশস্ততা হচ্ছে মক্কা ও (বাহরাইনের) হাজারের মধ্যবর্তী দূরত্ব অথবা মক্কা ও (সিরিয়ার) বুসরার মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান।" এই সমান দূরত্বের কথা স্যাটেলাইট ছাড়া প্রায় ১৫০০ বছর আগে কিভাবে কোন ব্যক্তি জেনেছিলেন যা আজ আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে তার সত্যতা পেলাম?
♨️ "নিশ্চয়ই মাছির একটি ডানায় রয়েছে রোগ, আর অপরটিতে রয়েছে রোগ নাশক ঔষধ" (বুখারি)। প্রায় ১৫০০ বছর পূর্বে কে কাকে জানিয়েছিলেন যেটা আজ আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা করে এটার সম্পূর্ন সত্যতার প্রমান পেয়েছে?
____দুই তিন টা বিরোধি দলের উপস্থিতিতে দেশের যে অবস্থা হয়, সেখানে একাধিক স্রষ্টা থাকা কি হাস্যকর ও অসম্ভব নয় ?
____এসব কিছুর উত্তর একমাত্র নির্ভুল ঐশী গ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআনে রয়েছে। পবিত্র কোরআনের রচয়িতা আপনার, আমার ও সকল সৃষ্টিকুলের একক ও অদ্বিতীয় স্রষ্টা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
মহান আল্লাহ পাক তাঁর পবিত্র কোরআনকে বিজ্ঞানময় কোরআন বলেছেন। আর এ কিতাবে যে কোনো সন্দেহ বা ভুল নেই তার নিশ্চয়তা স্বয়ং আল্লাহ পাক উক্ত কিতাবে উল্লেখ করেছন। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন গোটা মানব জাতির জন্য
যা মুমিনদের জন্য আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে হেদায়েত ও পথ নির্দেশনা আর কাফেরদের (অমুসলিম) জন্য চরম সতর্ক বার্তা।
###___ " আল্লাহ ব্যতীত ইবাদতের উপযুক্ত আর কোন মাবুদ বা রব নাই, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর শেষ বার্তাবাহক বা রাসূল।"
##_____মহান আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর সমতুল্য ও সমকক্ষ কিছু নেই। তিনি অনাদি ও অনন্ত, চিরপ্রতিষ্ঠিত সত্তা। তিনি সমস্ত কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান। তিনি অসীম দয়ালু, পরম স্নেহশীল। মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল ও প্রেমময়। তিনি কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তার মুখাপেক্ষী। তিনি জন্ম দেনও নাই, জন্ম নেনও নাই। তিনি সকল সৃষ্টি কুলের রব। আসমান এবং জমিন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সকল কিছু তাঁরই সৃষ্টি। মহান আল্লাহই সৃষ্টির সূচনা করেন। জীবন ও মৃত্যু সহ সকল সৃষ্টির একমাত্র রচয়িতা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
তিনি বিচার দিবসের মালিক। আরশ ও মহাবিশ্বের একক অধিপতি।তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী।
আমরা যেন তাঁর ইবাদত ছাড়া অন্য কারোর ইবাদত না করি। আল্লাহকে ছাড়া অন্য কাউকে সিজদাহ না করি।
## মুমিনগণ পরকালে বা আখিরাতে (মৃত্যু পরবর্তী জীবন) মহান আল্লাহর ইচ্ছায় ও দয়ায় অনন্ত কালের জন্য জান্নাত লাভ করবে।
পক্ষান্তরে , কাফেরেরা(অমুসলিমরা) পরকালে স্থায়ীভাবে জাহান্নামের বাসিন্দা হবে।
♥️ জান্নাত হলো চির যৌবন, অফুরন্ত ভোগ-বিলাস আর নিয়ামতে ভরপুরপূর্ণ স্থান। জান্নাতিরা জান্নাতে যা কামনা করবে বা চাইবে তা পাবে। তাদের চিন্তা-ভাবনা হবে পবিএ।
😲 জান্নাতিগন জান্নাতে তাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহকে নিজ চোঁখে দেখতে পাবেন।
😭 অমুসলিমরা কখোনো আল্লাহ তায়ালাকে দেখতে পাবে না। কারন তাদের সে অধিকার নাই।
😭 জাহান্নামে অমুসলিমরা অনন্ত কাল উতপ্ত আগুন ও পানিতে হাবুডুবু খাবে। তাদের হাত- পা আগুনের শিকল দিয়ে বাঁধা থাকবে। পুঁজ, রক্ত, জাক্কুম( কাঁটাযুক্ত ফল যেন শয়তানের মাথা) হবে জাহান্নামীদের খাদ্য। আগুনে তাদের চামরা পুড়ে গেলে আল্লাহ পাক পুনরায় জাহান্নামীদের শরীরের নতুন চামরা লাগিয়ে দেবেন। সেখানে তারা বাঁচবেও না আবার মরবেও না ।আর আল্লাহ পাক শাস্তি দানে কঠোর । তাঁর আযাব খুবই যন্ত্রনাদায়ক।
🤔 পুনরুত্থান দিবস / বিচার দিবসে যেদিন আসমানসমূহ ও যমীন ভিন্ন রূপ ধারণ করবে সেদিন আল্লাহ পাক মানুষদের জীবিত করবেন সাথে তাদের আংগুলের ডগা/অগ্রভাগসমূহও (Fingerprints) পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে, সঠিকভাবে পুনর্বিন্যস্ত করবেন তাদের সকল কৃতকর্মের হিসাব গ্রহণের উদ্দেশ্যে।
🤷 "আর যমীনে আছে পরস্পর পাশাপাশি ভূখন্ড, আঙ্গুর-বাগান, শস্যক্ষেত, খেজুর গাছ, যেগুলোর মধ্যে কিছু একই মূল থেকে উদগত আর কিছু ভিন্ন ভিন্ন মূল থেকে উদগত, যেগুলো একই পানি দ্বারা সেচ করা হয়, আর আমি (মহান আল্লাহ) খাওয়ার ক্ষেত্রে একটিকে অপরটির তুলনায় উৎকৃষ্ট করে দেই,(আল্লাহ পাক দেন) এতে নিদর্শন রয়েছে ঐ কওমের জন্য যারা বুঝে।"
[পবিত্র কোরআন; সূরাঃ আর- রাদ, আয়াত-৪]
🤷 "আর তারা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাকে, তারা কিছু সৃষ্টি করতে পারে না, বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়।"
[পবিত্র কোরআন; সূরাঃ আন- নাহাল, আয়াত ২০]
🤷 "হে মানুষ, একটি উপমা পেশ করা হল, মনোযোগ দিয়ে তা শোন, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তারা কখনো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না। যদিও তারা এ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। আর যদি মাছি তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নেয়, তারা তার কাছ থেকে তাও উদ্ধার করতে পারবে না। অন্বেষণকারী ও যার কাছে অন্বেষণ করা হয় উভয়েই দুর্বল।"
[পবিত্র কোরআন; সূরাঃ আল- হজ্জ, আয়াত-৭৩]
😘 পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবী তথা হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ) মুসলিম ছিলেন। তাদের ধর্ম ছিল ইসলাম। মহান আল্লাহ (SWT) যুগে যুগে মানব জাতির হেদায়েত ও ইসলামের পবিত্র দ্বীন প্রচারের জন্য বহু নবী, রাসূল প্রেরণ করেছেন। আসমানী কিতাবও নাজিল করেছেন; যেমন- তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল, কোরআন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের শেষ নবী ও রাসূল। পবিত্র কুরআন শেষ আসমানী কিতাব।
😡 ইহুদী-খ্রিস্টানরা ইসলামের পূর্ববর্তী কিতাবগুলতে অনেক কিছু সংযোজন ও বিয়োজন করে মূল বিষয় বাদ দিয়ে তাদের নামে চালিয়ে দিয়েছে।
😭 কাফেরেরা (অমুসলিমরা) মৃত্যু পরবর্তী জীবনে চরম অপমান, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও যন্ত্রণাদায়ক আযাব ভোগ করতে থাকবে। জাহান্নাম হবে তাদের স্থায়ি ঠিকানা বা নিকৃষ্ট বাসস্থান। আল্লাহ পাক তাদের ভুলে যাবেন ঠিক যেমনি তারা দুনিয়ায় আর-রহমানকে( আল্লাহ পাক কে) ভুলে গিয়েছিল ও অস্বীকার করেছিল নির্লজ্জ, বেহায়া, অকৃতজ্ঞদের মতো
🤔 শুধু আহার, ঘুম, টয়লেট ও যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আমাদের পৃথিবীতে পাঠানো হয় নি। আমরা যেন আমাদের অন্তর, চোখ, কান ও মস্তিষ্ককে কাজে লাগায়।
______________________________________________________
1. পবিত্র আল-কোরআন অনুবাদসহ । (পারলে তাফসির)
2. আল ফিকহুল আকবার, বাংলা অনুবাদ--- ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার এর টা ।
(আকিদা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বই)
3.প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১ম ও ২য় খন্ড।
( অবিশ্বাসীর প্রশ্নের উত্তর/ব্যাখ্যা দিয়ে নাস্তিকতার কবর দেয়া হয়েছে যে বইতে)
4. ডা. মরিস বুকাইলির ( বিশিষ্ট বিজ্ঞানী)লেখা বই,
যিনি খ্রিস্টান থেকে আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় মুসলিম হয়েছেন। তিনি মুলত পবিত্র কোরআন গবেষণা করছিলেন কোন ভুল সেখানে পাওয়া যায় কিনা সেজন্য।
তিনি আশ্চর্য হয়ে গবেষণা করে দেখেছিলেন মৃত্যুর পর কিভাবে হাজার হাজার বছর ধরে ফেরাউনের লাশ অক্ষত আছে। অবশেষে তিনি মেনে নিয়েছিলেন কোরআনে কোন ভুল নেই আর এটা এক ও অদ্বিতীয় স্রষ্টা মহান আল্লাহর বাণী। তিনি তার বিখ্যাত বই গুলোতে আধুনিক বিজ্ঞান ও পবিত্র কোরআন এর সামঞ্জস্যতা প্রমান করেছেন।
১। ওস্তাদ নোমান আলী অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ YouTube video
5. ডা. জাকির নায়েক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ YouTube video link ----
------------------------------***--------------------------

পারা ৩০ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ pdf

 

পারা ১ – পারা ৩০ কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

পারা ১ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ৩ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ৪ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ৫ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ৬ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ৭ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ৮ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ৯ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১০ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১১ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১২ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১৩ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১৪ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১৫ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১৬ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১৭ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১৮ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ১৯ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২০ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২১ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২২ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২৩ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২৪ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২৫ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২৬ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২৭ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২৮ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ২৯ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

পারা ৩০ – কোরআন শরীফ বাংলা উচ্চারন ও অনুবাদ

-> View / Print / Download

কুরআনের কিছু আয়াত

 কুরআনের কিছু আয়াত এখানে এমন কিছু কুর'আনের আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো আমাদের অন্তরকে শীতল করবে এবং পরকালীন প্রস্তুতি নিতে সাহায্য ক...